আদর্শ পুরুষের বৈশিষ্ট্য :
মানবিক উন্নত বৈশিষ্ট্যের অধিকারী, নৈতিকতার বিশেষণে ভূষিত ও উত্তম চারিত্রিক গুণে গুণান্বিত মানুষকেই আদর্শ মানুষ বলা যায়। এই আদর্শ মানুষই সমাজের মূলভিত্তি। এদের দ্বারাই সমাজ সুন্দরভাবে চলে। মানবতা হয় উপকৃত। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কল্যাণে সে নিবেদিত হয়। এসব গুণে কোন পুরুষ গুণান্বিত হলে তাকেই আদর্শ পুরুষ বলে। আদর্শ সন্তানের জন্য যেমন আদর্শ মায়ের দরকার, আদর্শ পরিবার গঠনের জন্য যেমন আদর্শ নারী-পুরুষ দরকার; তেমনি আদর্শ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের জন্য আদর্শ পুরুষ দরকার। কারণ সমাজ ও রাষ্ট্রের নেতৃত্বে থাকে পুরুষরাই। দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আল্লাহ যেমন পুরুষদেরকেই নবুওয়াত ও রেসালাতের দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছিলেন, তেমনি তিনি পুরুষদেরকেই কর্তৃত্বশীল করেছেন। তাই দেশ-জাতি, সমাজ-রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য পুরুষদেরকে আদর্শ হিসাবে গড়ে উঠতে হবে। তাহলে তাদের দ্বারা ব্যক্তি, সমাজ-রাষ্ট্র সবাই কল্যাণ লাভ করবে, সবাই সুখ-শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।
তাহলে চলুন এবার আদর্শ পুরুষের কতিপয় বৈশিষ্ট্য জানা যাকÑ
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনÑ সাত শ্রেণীর লোককে আল্লাহ তাআলা তাঁর ছায়া দিবেন যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া থাকবে না।
এক. ন্যায়পরায়ণ শাসক।
দুই. সেই যুবক যে আল্লাহর ইবাদতে বড় হয়েছে।
তিন. সে ব্যক্তি যার অন্তর সর্বদা মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত থাকে, সেখান থেকে বের হয়ে আসার পর তথায় ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত।
চার. এমন দুই ব্যক্তি যারা আল্লাহর ওয়াস্তে পরস্পরকে ভালবাসে। আল্লাহর ওয়াস্তে উভয়ে মিলিত হয় এবং তাঁর জন্যই পৃথক হয়ে যায়।
পাঁচ.এমন ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে আর তার দুই চক্ষু অশ্রু বিসর্জন দিতে থাকে।
ছয়. এমন ব্যক্তি যাকে কোন সম্ভ্রান্ত সুন্দরী নারী আহ্বান করে আর সে বলে আমি আল্লাহকে ভয় করি।
সাত. সে ব্যক্তি, যে গোপনে দান করে। এমনকি তার বাম হাত জানতে পারে না তার ডান হাত কি দান করে। -বুখারী, মুসলিম