তওবাকারীকে আল্লাহতায়ালা ভালোবাসেন।
অন্তরের সব পঙ্কিলতা ঝেড়ে বিশুদ্ধ মনে তওবাকারীকে আল্লাহতায়ালা জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট বিশুদ্ধচিত্তে তওবা করো, তাহলে তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের মন্দকর্মসমূহ মিটিয়ে দেবেন এবং তোমাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত।’ -সূরা আত তাহরিম: ৮
আল্লাহতায়ালা তওবাকারীর তওবা কবুল করে তাকে শুধু পাপমুক্তই করেন না, বরং তার পাপকে পুণ্যে রূপান্তরিত করেন। এ বিষয়ে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তবে তারা নয়, যারা তওবা করে, ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে। আল্লাহতায়ালা তাদের পাপকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।’ -সূরা আল ফুরকান: ৭০
যাদের তওবা কবুল করা হয় অজ্ঞতাবশত পাপকার্যে লিপ্ত হওয়ার পর যারা তওবা করে আল্লাহতায়ালা তাদের তওবা করে থাকেন। এ ছাড়া আরও যাদের তওবা কবুল করা হয় তারা হলো- যারা পাপকর্ম থেকে বিরত থেকে নিজেদের সংশোধন করে নেয়, ঈমান আনার পর সৎকর্ম সম্পাদন করে, না দেখেই আল্লাহতায়ালাকে ভয় করে, তাকওয়া অবলম্বন করে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে স্বীয় জানমাল উৎসর্গ করে, আল্লাহর পথে দান-সদকা করে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর যথাযথ অনুসরণ করে, মানুষের ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দেয়, সর্বদা সত্য ও সঠিক কথা বলে এবং যারা সব ধরনের কবিরা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকে।